রুচিশীল পোশাক সৌন্দর্য প্রকাশের সহজ মাধ্যম

রুচিশীল পোশাক-

পোশাকেই মানুষ নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে চায়। এক্ষেত্রে আধুনিক মানুষ ট্রেন্ড ফলো করেন। নিজস্ব ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাকই তারা পছন্দ করেন। পোশাক ব্যক্তিত্ব এবং সৌন্দর্য প্রকাশের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। পোশাক যেমন একদিকে আপনার রুচিশীলতা প্রকাশ করে তেমনি যুগের সঙ্গে পালটে যাওয়া ফ্যাশনের মাপকাঠি আপনার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। বর্তমান যুগ, ফ্যাশনের যুগ। সৌন্দর্য সচেতনতা ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি। কিন্তু এই আধুনিক যুগে ছেলেরাও কম যায় না। নগরায়ণ, কর্পোরেট পেশা, ডেস্ক জব, নানাবিধ কারণে আমরা আমাদের ফিগারটাকে ঠিক রাখতে পারি না। ফিগারের সঙ্গে কিন্তু শরীর, স্বাস্থ্য ও মন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সুন্দরের জয় সর্বত্র। তাই আপনাকেও অবশ্যই রুচিশীল হতে হবে। আপনি কালো বা শ্যামলা সেটা কিন্তু কোন সমস্যা না। আপনি পোশাক আর পোশাকের রং নির্বাচনে রুচিশীল হয়ে থাকলে আপনাকে মোটেও দৃষ্টিকটু দেখাবে না। এছাড়া পোশাকের ধরন, রং এবং বৈচিত্র্যেও ভিন্নতা আনে নিজের মাঝে। তবে ভিন্নতার আমেজের ক্ষেত্রে একই ধরনের পোশাক নির্বাচন বর্তমানে হাল ফ্যাশনে তরুণদের সাজের মাত্রায় ভিন্নতার আঁচড় কাটছে সবচেয়ে বেশি।

পোশাক পরুন রুচিশীলঃ

হালফ্যাশনের বা ট্রেন্ডি পোশাক পরা মানেই স্মার্ট হওয়া নয়। পোশাকটা আদতে মানাচ্ছে কি না, সেটাই হলো আসল কথা। পোশাক-আশাক যদি ঠিকমতো নির্বাচন না করতে পারেন তাহলে আপনার স্মার্টনেস অনেকাংশেই মার খেয়ে যাবে। তাই পোশাক পরুন নিজের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী। হাল ফ্যাশনের পোশাক নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকলে বেছে নিন ট্র্যাডিশনাল বা সব সময়েই যেসব পোশাকের চল থাকে, সেই পোশাকগুলো। যেমন শাড়ি, সাধারণ ছাঁটের সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, ফর্মাল শার্ট, প্যান্ট, স্ট্রেইট কাটের জিন্স, পোলো টিশার্ট ইত্যাদি। কী রঙের পোশাক বেছে নেবেন তা বুঝতে না পারলে পরুন হালকা যেকোনো রঙের পোশাক। হালকা রং সবাইকেই মানিয়ে যায়। নকশা এবং স্টাইলের চেয়েও বেশি গুরুত্ব ধরে রং। এটাই প্রথমে নজরে আসে। সাধারণত পুরুষদের নেভি এবং চারকোল রং বেশ মানানসই। অনেকেই স্রেফ কালো স্যুট পরেন। এটি আসলে সাধারণ মানের নির্বাচন। এতে অর্থ-প্রতিপত্তির প্রকাশ ঘটে না। নারীদের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রটি বড়। তারাও কালো পরতে পারেন। তবে লম্বা ধাঁচের পোশাকের অধিকাংশটিই কালো হতে হবে। নারীদের ক্ষমতাসীন দেখায় টিলস এবং কোবাল্ট ব্লু রংয়ে। যদি ডার্ক রঙের পোশাক পরতে চান তবে সাজ-সজ্জাটা একটু হাল্কা করুন, সেইসঙ্গে কম গয়না পরুন। ওড়না যদি রংচঙে হয়, তবে জামাটা হাল্কা রঙের নির্বাচন করুন। এভাবে নিজের মতো করে মিলিয়ে নিয়ে পরলে যে কোন রংইে আপনাকে মানিয়ে যাবে। তবে খুব চোখে লাগে এমন কোন রং নির্বাচন না করাই ভাল।

নিতান্ত ঝোঁকের বশে কাপড় কিনলে আপনার শুধু ওয়ারড্রোবই উপচে পড়বে। চিন্তা-ভাবনা করে রুচিশীল পোশাক কিনতে হবে। ব্যক্তিত্বের সর্বোচ্চ প্রকাশ ঘটবে যে পোশাকের ভিতরে আপনি থাকবেন। মনে করুন, নিজেকে প্যাকেট করতে হবে। ভালো দেখাতে কী ধরণের প্যাকেট নির্বাচন করবেন? আপনার আকৃতি আয়তক্ষেত্র ধাঁচের হলে কোমরের অংশে কিছুটা সরু দেখায় এমন পোশাক নির্বাচন করুন। ডিম্বাকৃতি হলে মোটা শক্ত কাপড়ের পোশাক এবং চেক পরবেন না। একেবারে ছিপছিপে হলে কিছুটা স্বাস্থ্যবান দেখাবে এমন পোশাক প্রয়োজন। নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু মোটা দেখাবে বলে বিবেচনা করা যায়। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখাবে বলিষ্ঠ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top